আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাগুরার শ্রীপুরে আওয়ামী লীগের দু’নেতার সমর্থকদের মধ্যে দিনভর দফায় দফায় সংঘর্ষ, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এদের এক গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী তারিকুল ইসলাম তারেক ও অপর গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও শ্রীকোল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোতাসিম বিল্লাহ সংগ্রাম।
মঙ্গলবার (৫ মে) উপজেলার বরিষাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিন গিয়ে পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পূর্বের ভাংচুরের ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার সকালের দিকে কাজী তারেকের সমর্থকরা জানতে পারে তাদের সমর্থনে ইউনিয়নের টুপিপাড়া, খামারপাড়া থেকে কিছু লোক সাবেক এমপি আবদুল ওয়াহ্হাবের বাড়ি পর্যন্ত চলে এসেছে। এসময় শ্রীপুর থানা পুলিশ সংগ্রামের পেট্রোল পাম্পের কাছে অবস্থান নিলে ওদিক থেকে বিচ্ছিন্নভাবে আসা লোকজন ছত্রভঙ্গ হয়ে ফিরে যায়। এদিকে কাজী তারেকের সমর্থক বরিষাট গ্রামের লোকজন ঢাল, সরকি, রামদা, ছ্যানদা, লাঠিসোটা নিয়ে সংগ্রামের সমর্থক নুরুজ্জামান রোজি, আবদুল মাজেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আসমত আলীর ‘বীর নিবাস’, সরিফুল, রফিকসহ বেশ কয়েকজনের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। এদিকে এ সংবাদ ছড়িয়ে পরলে সংগ্রামের লোকজনও ঢাল, সরকি, লাঠি-সোটা নিয়ে প্রতিপক্ষ ডাবলু শেখের বাড়িসহ বেশ কয়েকজনের বাড়িঘর ভাংচুর করে। এসময় কাইজার মাঠ থেকে পুলিশ ৫ জনকে আটক করে।
সংঘর্ষ চলাকালে আতঙ্কিত গ্রামবাসীকে তাদের গৃহপালিত গরু-ছাগল, ফ্রিজ, দামি আসবাবপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। এ নিউজ লেখা পর্যন্ত এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। গ্রামের বিভিন্ন স্থানে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সজ্জিত হয়ে কাইজার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ তাসমীম আলম জানান, খবর পেয়ে তিনিসহ শ্রীপুর থানা পুলিশ ও মাগুরা থেকে রিজার্ভ পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ চলাকালে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।